১ – বিজ্ঞান: বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই।
কুরআন: সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
২ – বিজ্ঞান: বিজ্ঞান মাত্র ২০০ বছর আগে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে।
কুরআন: সূরা আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৩ – কুরআন: সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব।
বিজ্ঞান: যা আজ বিজ্ঞানের দ্বারা প্রমাণিত।
৪ – বিজ্ঞান: বিগ ব্যাং থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র চল্লিশ বছর আগে।
কুরআন: সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৫ – বিজ্ঞান: পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি।
কুরআন: সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৬ – বিজ্ঞান: বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না।
কুরআন: সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৭ – কুরআন: ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে।
বিজ্ঞান: বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে।
৮ – বিজ্ঞান: বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে।
কুরআন: কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়।
৯ – কুরআন: ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে।
বিজ্ঞান: চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
১০ – কুরআন: ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে।
বিজ্ঞান: বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
১১ – বিজ্ঞান: রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে।
কুরআন: সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।
১২ – বিজ্ঞান: মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে।
কুরআন: সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে।
১৩ – বিজ্ঞান: ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে।
কুরআন: কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরাকিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)
১৪ – বিজ্ঞান: একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার।
কুরআন: ১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত ( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ )
১৫ – বিজ্ঞান: পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল।
কুরআন: কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়েগেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।
১৬ – কুরআন: সূরা আন-নাবা (৭৮:৬-৭) মহান আল্লাহ তা’আলা পর্বতসমূহকে পৃথিবীর জন্য পেরেকস্বরূপ সৃষ্টি করেছেন। যাতে পৃথিবী এদিক সেদিন হেলে দুলে না যায়।
বিজ্ঞান: আধুনিক বিজ্ঞানেও এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পাহাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৭ – কুরআন: আর আমি সব প্রাণীকে পানি দিয়েই সৃষ্টি করেছি। (সুরা আম্বিয়া, ২১: ৩০)
বিজ্ঞান: এ আয়াতটি জীবনের সৃষ্টির জন্য পানি যে অপরিহার্য, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়াতটি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাথে অনেকটা সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে বিজ্ঞানীগণ বলছেন যে পানি জীবনের একটি মৌলিক উপাদান।
১৮ – বিজ্ঞান: পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে ২০০ বছর আগে।
কুরআন: সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি… যারা নাস্তিক তারাও জানে… পার্থক্য টা হল বোধ। যেমন ধরুন একজন নেশাখোর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্মদিয়েছে… সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি… ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা ‘ বোধ’ এর। আপনার এই বোধটা থাকতে হবে। আল্লাহ্ বলেন, ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে। সূরা হা-মিম সিজদাহ্–(৩৩)।
নবী (স) বলেন, আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি, যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো( বায়হাকী)।


