সিজন পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা সর্দি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। ঋতু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রার হেরফের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, যার কারণে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সহজেই আক্রমণ করতে পারে। ঠান্ডা সর্দির মূল উপসর্গ হল নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর এবং শারীরিক দুর্বলতা। এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন, যেমন গরম পানি পান করা, বিশ্রাম নেওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যা সহজেই কেটে যেতে পারে।
ঠান্ডা সর্দি থেকে বাচার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক-
- গরম পানি পান করুন: গরম পানি বা চা (বিশেষ করে আদা, তুলসি পাতা বা লেবু) খেলে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কমে যায়।
- আদা ও মধু: এক চা চামচ আদা রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার খেলে গলা পরিষ্কার হয় এবং ঠান্ডার উপসর্গ কমে যায়।
- লেবু ও মধু: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্দি ও কাশি কমে যায়।
- গরম স্যুপ: চিকেন স্যুপ বা সবজি স্যুপ ঠান্ডা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।
- গরম ভাপ: গরম পানির বাষ্প শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করে এবং নাকের বন্ধভাব কমায়। এক বাটি গরম পানির উপর একটি তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে নিন এবং বাষ্প নিন তাতেক কিছুটা নাক পরিষ্কার হবে।
- তুলসি পাতা: তুলসি পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা ও সর্দি কমে।
- গরম সল্ট ওয়াটার গার্গল: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল ( গরগড়িয়ে কুলি ) করলে গলার ব্যথা ও ইনফেকশন কমে।
- বিশ্রাম নেওয়া: শিথিলতার জন্য ভাল ঘুম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সর্দি, ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, তবে যদি সর্দি দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


