চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎস ও বিকাশ

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎস ও বিকাশ।

⇒ “রোগ নিরাময় করার থেকে রোগ প্রতিরোধ করা অনেক ভালো” কিন্তু যখন আমাদের অসাবধানতার জন্য রোগ হয়ে যায় তখন বিপাকে পড়তে হয় এবং আমাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। তারা চিকিৎসা করে, ঔষুধ দেয় এর ফলে আমরা একটি ঘাতক রোগ থেকেও বেঁচে আসতে পারি। কিন্তু একবার কী ভেবে দেখেছেন এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি কোথায়?

চিকিৎসা বিজ্ঞানের একেবারে প্রাথমিক উৎপত্তি সেই আদিম যুগে, যখন মানুষ প্রকৃতির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিল। এর সূচনা হয় প্রাকৃতিক উপাদান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।

তবে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রথম প্রচলন হয় প্রাচীন মিশরে। ইমহোতোপ যিনি ছিলেন প্রাচীন মিশরের একজন শল্য চিকিৎসক এবং পুরোহিত তাকে প্রথম চিকিৎস হিসেবে গন্য করা হয়।

পরবর্তীতে মেসোপটেমিয় লোকেরা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে গাছপালা ও জাদুমন্ত্র ব্যবহার করত।

চিকিৎসা শাস্ত্রে ভারতের অবদান প্রশংসার দাবি রাখে। ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যা আয়ুর্বেদ “চরক সংহিতা এবং সুশ্রুত সংহিতা” এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। সুশ্রুতকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। চীনের প্রাচীন চিকিৎসা যেমন : আকুপাংচার ও হার্বাল মেডিসিন বিশ্বে পরিচিত। গ্ৰীক সভ্যতার সময়কালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যথেষ্ট খ্যাতি হয়েছিল। হিপোক্রেটিস চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন অগ্রগামী- তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি রোগের কারণ ও তার চিকিৎসা সর্ম্পকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আনেন।

এর পরে ইসামালামিক যুগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির স্বর্ণযুগবলা হয়। আরব যিজ্ঞানীরা- চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক অবদান রেখেছে। ইবনে সীনা এর “canon of Medicine” বহু শতাব্দী ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি ছিল। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞান বর্তমানে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আধুনিক যুগে এসে ১৭-১৮শ শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির  উন্নয়ন এর সাথে সাথে চিকিৎসা’ বিজ্ঞানের আধুনিকতা শুরু হয়। মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার, রোগের জীবানুবিজ্ঞান (Germ theory এবং ভ্যাকসিনের এখন চিকিৎসায় বৈপত্বিক পবিতন আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *